চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা তার ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। উপজেলায় রয়েছে শতাব্দী প্রাচীন মসজিদ, মন্দির, জমিদার বাড়ি এবং মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য, যা পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
উপজেলার বিখ্যাত দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
বখশী হামিদ মসজিদ (১৫৫৮)
-
নিম কালীবাড়ী (১৭১০)
-
জহুর চৌধুরী জামে মসজিদ (১৭৫০)
-
শিখ মন্দির, বাণীগ্রাম
-
মনু মিয়াজি বাড়ি জামে মসজিদ এবং জমিদার মনু মিয়াজি বাড়ির পুরোনো ভবন ও মসজিদের মিনার
-
মালকা বানুর দীঘি ও মসজিদ, যা চট্টগ্রামের প্রখ্যাত লোককাহিনী ‘মনু মিয়া–মালকা বানু’ সংক্রান্ত ঐতিহাসিক স্থান
-
বাঁশখালী ইকোপার্ক
-
চাঁদপুর-বেলগাঁও চা বাগান
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতি আগ্রহীদের জন্য রয়েছে:
-
কাথরিয়া, বাহারছড়া ও খানখানাবাদ সমুদ্র সৈকত
-
জলদী সংরক্ষিত বনাঞ্চল
-
জলকদর খাল
-
পশ্চিম উপকূলের লবণ মাঠ
-
বাঁশখালী সমুদ্র সৈকত
এছাড়া, ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে:
-
কাতেবী জামে মসজিদ
-
নবী মসজিদ (অষ্টাদশ শতক)
-
সরল্যার মসজিদ ও দীঘি
-
মহিষের টেক সবুজ বেস্টনী
-
বৈলছড়ি খান বাহাদুর বাড়ি
স্থানীয় পর্যটন কর্মকর্তা জানান, “বাঁশখালী উপজেলার এই দর্শনীয় স্থানগুলো পর্যটকদের জন্য একটি নতুন গন্তব্য হিসেবে উদ্ভাবন করা হচ্ছে। এখানকার ইতিহাস, প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং সংস্কৃতি একসাথে পর্যটকেরা উপভোগ করতে পারবে।”
পর্যটকদের জন্য স্থানীয় প্রশাসন এবং স্থানীয় উদ্যোক্তারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করছে। সম্প্রতি কিছু জায়গায় পর্যটক-বান্ধব লাইটিং ও পথ নির্দেশক স্থাপন করা হয়েছে, যাতে ভ্রমণ সহজ এবং নিরাপদ হয়।
বাঁশখালী এখন শুধু চট্টগ্রামের নয়, দেশের পর্যটকদের জন্যও এক আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে উঠে আসছে।
